ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনিকে এখনও ‘নিকেশ’ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, “আমরা জানি সে কোথায় লুকিয়ে আছে, চাইলে এখনই হামলা চালাতে পারি। কিন্তু আপাতত তা করছি না।” এই বার্তাগুলো ট্রাম্প দিয়েছেন ট্রুথ সোশালে একাধিক উস্কানিমূলক পোস্টে।
এক পোস্টে তিনি লিখেছেন—“UNCONDITIONAL SURRENDER!”—বড় হাতের অক্ষরে। তার ভাষ্য, “আমাদের নাগরিক ও সেনাদের উপর পাল্টা হামলা যেন না হয়, সেই কারণেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে এখনই হত্যা করছি না।”
এই মন্তব্য এসেছে এমন সময়ে, যখন ইজরায়েল গত পাঁচদিন ধরে ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে একটানা হামলা চালাচ্ছে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, “আমেরিকার সহায়তায় ইজরায়েল চাইলে স্থায়ীভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে।” তার দাবি, এই হামলাগুলোতে ইরানের বড় ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ বিমানে ট্রাম্প বলেন, “আমি যুদ্ধবিরতির কথা বলিনি, আমরা চাই তার চেয়েও ভালো কিছু।” তিনি বলেন, “ওরা কোনো চুক্তি করেনি, আমি বলেছিলাম—‘চুক্তিটা করে ফেলো।’ এখন আমি আলোচনার মুডে নেই।”
তবে তিনি জানান, কূটনৈতিক পথ এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। ইঙ্গিত দিয়েছেন, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে ইরানে আলোচনার জন্য পাঠানো হতে পারে।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য তখনই সামনে এলো, যখন তিনি জি৭ সম্মেলন মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে ৯.৫ মিলিয়ন ইরানিকে দেশ ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে দেশে ফিরে আসেন।
এদিকে, ইরান সবসময়ই দাবি করে আসছে, তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডও গত মার্চে কংগ্রেসে বলেছেন, ইরান ২০০৩ সালেই তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে এবং এখন পর্যন্ত তা পুনরায় চালু হয়নি।
তবে ট্রাম্প এ বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “তুলসি কী বলেছে, সেটা আমার গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার মনে হয়, ওরা (ইরান) অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল।”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই ভাষ্য উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করতে পারে এবং মার্কিন-ইরান সম্পর্কে এক নতুন দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?