clock ,

নিজের জন্যে যন্ত্রণা

নিজের জন্যে যন্ত্রণা

হঠাৎ করেই প্রশাসনিক কিছু পদক্ষেপ আমাকে সন্দিহান করছে। রাস্তায় মুখে কালী মেখে ইতরামি করতো যে ছেলেটা, ওকে অ্যারেস্ট করা, মাজার ভাঙ্গতে আসাদের প্যাদানি দেয়া, হিযবুত তাহেরিদের মিছিলে বাঁধা দেয়া এগুলো হঠাৎ করে শুরু হলো কেনো ?

এগুলো মোটেও স্বাভাবিক নয়।

কারণ যারা দেশ বিক্রি করে, তারা দেশতে ভালোবাসে না। আর যারা দেশকে ভালোবাসে না তাদের মনে হঠাৎ দেশের প্রতি দেশের মানুষের প্রতি দরদ উতলে উঠতে পারেনা।

হঠাৎ করেই দেখতে পাচ্ছি সমন্বয়করা ধরা পড়ছে, অ্যরেস্ট হচ্ছে। এতোদিন হয়নি। এগুলো সব লোকদেখানো। ওদেরকে নিরাপত্তা দেয়ার প্ল্যান।

আমি নিশ্চিত। সামনে বড়ো কোন দুর্ঘটনা ঘটবে। আর এর দায় এড়াতেই  এইসব নাটক।

আমেরিকা বাংলাদেশ সফর এর বিষয়ে তিন নম্বর সতর্কতা জারি করেছে। শাব্দিক ভাষায় এটার একটা নাম তারা দিয়েছে যেটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না এই ধরনের সতর্কতা একটি বড়ো পয়েন্ট ধারণ করে। এই শালা আমেরিকা যে কয়টা দেশে এই সতর্কতা জারি করেছে সেই সবকয়টা দেখেই বর্তমানে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। কোন দেশই শান্তিতে নেই।

আইএসআই বলুন, লাদেন বলুন এইসব জঙ্গি আমেরিকা নিজে তৈরী করেছে। কেনো করেছে ? যাতে তারা ওইসব দেশে জঙ্গি আছে বলে সেনা ঢোকাতে পারে এবং ঐসব দেশের সম্পদ লুট করতে পারে।

ইদানিং বাংলাদেশের বেলাতেও সেটাই হচ্ছে। হঠাৎ করেই নানাবিধ ছোট বড়ো ইসলামপন্থী দল জেগে উঠেছে এবং কোন্দল শুরু হয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু, বাংলাদেশের রাস্তায় কিন্তু কোন মিসাইল নেই। অস্ত্রধারী মেশিন নেই বা জঙ্গি বাহিনী নেই যে আমেরিকা তিন নম্বর সতর্কতা জারি করতে পারে। এবং নিজের দেশের লোকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে।

তাহলে এই তিন নম্বর সতর্কতা উদ্দেশ্য কি ? উদ্দেশ্য এখানেই যে সম্প্রতি বাংলাদেশে বড়ো কোন আত্মঘাতী বোমা হামলা হতে পারে। পাঁচ আগস্টের সময় থেকেই আমি এসব বলে এসেছি। কেউ শোনেনি। এমনকি আমার পরিবারের মেধাবীরাও আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। তার উপরে আমার কারণে যখন আমার বাসার মালপত্র লুট হয়েছে তখন তো তারা আমার বাবার মৃত্যুর পর আমাকে খবরটাও এভাবে দিয়েছে আর নিজেরা সময় নির্ধারণ করেছে যে আমি জানাজায় অংশ তো দূর লাশটা পর্যন্ত দেখতে পারিনি।

যাইহোক। বাবার লাশ না হয় দেখিনি তাই বলে দেশটাকে লাশ হতে দিতে চাইতে তো আমি পারি না।

বাংলাদেশের সমুদ্রে প্রায় চৌদ্দটির মতো গ্যাস আর তেলের পয়েন্ট আছে। যেটা একটি অমূল্য বিষয় এবং বাঙ্গালী মেধাবীদের এই বিষয়ে কোন আইডিয়া নেই। নিজের দেশ সম্পর্কে নিজের ইতিহাস সম্পর্কে আলুগোটার ধারণা বহনকারী এই জেনারেশন জানে না যে ভারতের কাছে আমেরিকা যুদ্ধ বিমান বিক্রি করতে চেয়েছিল ভারত কেনেনি। উল্টো রাশিয়ার কাছ থেকে বিমান জাহাজ যুদ্ধাস্ত্র কিনেছে। ওদিকে মায়ানমারে তৈরি হচ্ছে রাশিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র। আর চিনের মতো দেশকে তো আমেরিকা শায়েস্তা করতেই চায়। কাজেই বাংলাদেশের একটা গোষ্ঠিকে লেলিয়ে দিয়ে আরাকান বাহিনীর মতো একটা বাহিনী তৈরি করলেই সারাজীবনের জন্যে দেশটাকে ওলটপালট করে দেয়া সম্ভব হবে। আর আমেরিকা জঙ্গি আছে ঘোষণা দিয়ে নিজেদের বাহিনী এনে এই দেশে ঢোকাবে।

দেশের সম্পদ তো লুট করবেই। ভারত, চিন আর মায়ানমারকে একসাথে নিয়ন্ত্রণ করবে।

ভারতের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সকলের সাথে আজগুবি চ্যরাইঙ্গা ব্যবহার করা এইসবই নির্দেশ করে। আর ইউনুছতো দুই চোখে এলুমনিয়াম এর বদনা লাগিয়েই রেখেছে। যেটা দেশে একটা বড়ো হামলাকে উস্কানি দিচ্ছে।

কাঙালের কথা বাসী হলে ফলে। আমার কথাও সেভাবেই সত্যি। হয়। আজকে বলে দিলাম। কদিন পরে মিলিয়ে দেখবেন।

বাংলাদেশের সোনাবাহিনী দায়সারাগোছের একটা ঘোষণা কিন্তু দিয়েই রেখেছে। ঠ্যালা আপনাদেরকেই সামলাতে হবে।

দুঃখ একটাই  ! বাল ফালানো মেধাবীরা আমাদের সোনার দেশটাকে ধ্বংস করে দিলো। এখন তারা ইদুরের মতো গর্তের ভেতরে লুকিয়ে আছে।

তারা আওয়ামীলীগ নামের স্বৈরশাসক বদলাতে চেয়েছে। এখন তাদের বাপের নাম জগৎ সংসার থেকে মুছে যাচ্ছে। তাদের বোনের দুলাভাই রাস্তাঘাটে রচিত হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে।এখন তাদের মেধা ধোয়া পানি দিয়ে তারা শৌচ কার্জ সম্পাদন করুক।

বেঁচে থেকে এর চেয়ে বেশি তারা আর কি বা করবে !

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য