বাংলাদেশে ৩৬ দিন ধরে চলা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন কলকাতার খ্যাতিমান নির্মাতা সৌমিত্র দস্তিদার। তথ্যচিত্রটির শিরোনাম ‘৩৬ জুলাই’, যেখানে সেই আন্দোলনের পটভূমি, চরিত্র ও প্রভাবকে তুলে ধরা হয়েছে।
৪৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রটিতে অংশ নিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা— প্রবীণ বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দিন উমর, সাংবাদিক তাসনিম খলিল, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের কন্যা শারমিন আহমেদ, ছাত্রনেতা মেঘমল্লার বসু, এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী উমামা ফাতেমা।
তথ্যচিত্র নির্মাণ প্রসঙ্গে সৌমিত্র বলেন, “বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন একটি আখ্যান আছে যা এখনও ভালোভাবে প্রচারিত হয়নি। আমি সেই আখ্যানটি জানতে চেয়েছিলাম, বুঝতে চেয়েছিলাম। এই তথ্যচিত্রটি সেই অনুসন্ধান।”
তিনি জানান, ২০২৩ সালের আগস্টে ঢাকায় অবস্থানকালে দেয়ালে লেখা ‘৩৬ জুলাই’ শব্দটি তার চোখে পড়ে। সেই দেয়ালচিত্রেই উঠে আসে আন্দোলনের দৈর্ঘ্য এবং প্রতীকী তাৎপর্য, যেখান থেকে তথ্যচিত্রটির নামকরণ।
সৌমিত্র দস্তিদার তার দীর্ঘ সাংবাদিকতা ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ জীবনে ভারতের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রের মাধ্যমে বিশেষ সাড়া ফেলেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস, বিশেষ করে মাওলানা ভাসানী ও তাজউদ্দিন আহমেদ-কে ঘিরে তার আগ্রহ ও গবেষণা প্রবন্ধ আকারে প্রকাশিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের পাঠকমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
তথ্যচিত্র নির্মাণে চিত্রনাট্য ও গবেষণায় সহায়তা করেছেন সাহেদ সুভো এবং চিত্রগ্রহণে ছিলেন লুৎফুর রহমান। নির্মাতা জানান, এই কাজ সহজ ছিল না। দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ, তথ্য সংগ্রহ এবং নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলো ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
সৌমিত্র বলেন, “আমি কখনোই আশা করিনি যে হাসিনা সরকারের পতন ঘটবে। কিন্তু বছরের পর বছর আমার মধ্যে তীব্র এক অসন্তোষ জমেছে। সেই অনুভব থেকেই এই অনুসন্ধান।”
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?