সাতক্ষীরায় ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক এলাকার শহীদ মিনারের পেছন থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক হওয়া দুই নারী হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিনেরপোতা এলাকার জোসনা খাতুন (২৬) এবং আশাশুনি উপজেলার গোনাকরকাটি এলাকার মুন্নি (২৫)। তারা শহরের একাডেমি মসজিদ এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান (৩৮) সাতক্ষীরা বড়বাজারের একজন মাছ ব্যবসায়ী এবং শহরের উত্তর কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, জোসনা খাতুন এক সময় তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে পরিচয় হয় এবং মাঝে মাঝে তিনি তাকে বাকিতে মাছ দিতেন। এ সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে জোসনা তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন।
ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনায় মিজানুর বলেন, “রোববার দুপুরে জোসনা ফোন করে জানায়, পুরনো বাকি ১,৩০০ টাকা ফেরত দিতে চায়। বিকেল ৫টার দিকে আমি একাডেমি মসজিদের পাশে তার বাসায় যাই। সেখানে জোসনা আমাকে বসতে বলেন। বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই ৮-১০ জন অচেনা যুবক বাসায় ঢুকে আমাকে মারধর শুরু করে। পরে আমার হাত বেঁধে তারা বলে, যদি মুক্তি পেতে চাই তাহলে ২ লাখ টাকা দিতে হবে।”
মিজানুর আরও বলেন, “আমি অনেক অনুনয়-বিনয় করলে তারা ৩৫ হাজার টাকায় রাজি হয়। পরে আমি আমার শ্যালক নুরুকে ফোন করে টাকা পাঠাতে বলি। বিকাশে টাকা পাঠানোর পর তারা আমাকে ছেড়ে দেয়।”
ঘটনার পরই তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করেন। তাৎক্ষণিক অভিযানে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জোসনা ও মুন্নিকে আটক করে। তবে অন্য অভিযুক্তদের এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মিজানুরের দাবি, “এই দুই নারী একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন ছলচাতুরীর মাধ্যমে সহজ-সরল মানুষকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করে থাকে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, “ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থল থেকে দুই নারীকে আটক করেছি। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
পুলিশ বলছে, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?