clock ,

সরকারি খরচে যাবে ৫০ হাজার শ্রমিক

সরকারি খরচে যাবে ৫০ হাজার শ্রমিক

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য আবারও উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১২ লাখ শ্রমিক নেবে, যার মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার শ্রমিক যেতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনা খরচেসরকারি খরচে। সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায়, যেখানে প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা . আসিফ নজরুল বৈঠকে মিলিত হবেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাশুসন ইসমাইল মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেও-এর সঙ্গে। এর আগে ২০২৪ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী . আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশ সফরে এলে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা . মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে দুই দেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়।

দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে এজেন্সি নির্ভরতার পরিবর্তে কম খরচ, নিরাপদ যাত্রা এবং শ্রমিক কল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় মালয়েশিয়ায় সাধারণ শ্রমিকদের বেতন অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ বাজারে প্রবেশ করে রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লেখযোগ্য উন্নতি আশা করছে সরকার।

তবে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে দেশটির মানবাধিকার সংস্থা তেনাগানিতা। সংস্থাটি বলছে, দীর্ঘদিনের কাঠামোগত ব্যর্থতা শোষণমূলক ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া নতুন নিয়োগ শুরু করলে মানবিক সংকট আরও বাড়বে। গত ১৭ মে এক বিবৃতিতে তেনাগানিতা মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ চুক্তির পূর্ণ প্রকাশ দাবি করে বলেছে, নিয়োগ শুরুর আগে আটকে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধতা কর্মসংস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক গ্লোরিন দাস বলেন, নতুন কর্মী আনার অনুমতির আগে জনসাধারণের পর্যাপ্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে নিয়োগ ব্যবস্থার গঠনগত সংস্কার প্রয়োজন। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়ায় এসেছে, যাদের মধ্যে লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি। এদের অনেকেই বেকার, বেতনবঞ্চিত, গৃহহীন এবং গ্রেফতারের ঝুঁকিতে পড়েছেন। প্রতারিত হয়ে কেউ কেউ ২৫ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত প্রদান করেও কাজ পাননি। তিনি আরও দাবি করেন, তেনাগানিতা কমপক্ষে ১৫০টি ভুয়া কোম্পানি চিহ্নিত করেছে যারা প্রকৃত কার্যক্রম ছাড়াই কর্মী নিয়োগের কোটা পেয়েছে। সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ সম্ভব হতো না বলেও জানান তিনি।

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য