আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশে যে অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনূস সরকার, তা শুধু দেশে নয়—বিদেশেও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত, ক্ষুব্ধ এবং শঙ্কিত।
তাঁদের
মতে, আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর কালো
অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রবাসীদের অভিযোগ, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যে আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, সেই দলকে কার্যত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইউনূস সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে সরাসরি আঘাত হেনেছে। এ পদক্ষেপ প্রমাণ করে, ইউনূস সরকার স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও উগ্র গোষ্ঠীর হাতকে শক্তিশালী করতে চায়।
প্রবাসীরা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা মানে বাংলাদেশের ইতিহাস, আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় অর্জনকে অস্বীকার করা। তাঁরা একে গণবিরোধী ও প্রতিহিংসাপরায়ণ সিদ্ধান্ত বলে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘‘আমরা এ সিদ্ধান্ত ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি এবং এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ সংগঠিত করব।’’
প্রবাসীদের মতে, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও জনগণের আস্থাভাজন রাজনৈতিক সংগঠন। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ প্রতিটি ঐতিহাসিক মোড়ে দলটি নেতৃত্ব দিয়েছে। এই দলকে নিষিদ্ধের চেষ্টা একধরনের রাজনৈতিক প্রতিশোধ এবং গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির ওপর সরাসরি আঘাত।
তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার হীন অভিপ্রায়ে ইউনূস সরকার একের পর এক জনবিচ্ছিন্ন ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যার মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই বিপন্ন হয়ে পড়ছে। বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের প্রতি সহনশীলতা—এসব থেকে দূরে সরে গিয়ে সরকার একনায়কতান্ত্রিক পথে হাঁটছে।
প্রবাসীরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানগুলো যেন এই অবৈধ ও অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের নিন্দা জানায় এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে অবস্থান নেয়।
প্রবাসীদের আহ্বান, আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিবাদী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়—এটি বাঙালির আত্মপরিচয়, সংগ্রাম এবং চেতনার প্রতীক।
তাঁরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, দেশের জনগণ এই গণবিরোধী, স্বৈরতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের দাঁতভাঙা জবাব দেবে, এবং খুব শিগগিরই সত্য ও ন্যায়ের বিজয় হবে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?