ইরান থেকে তেল বা পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কিনলে সংশ্লিষ্ট দেশ বা ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর কোনো ধরনের বাণিজ্য করতে পারবে না—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্ট ও হোয়াইট হাউসের বক্তব্যে তিনি এই কঠোর অবস্থান জানান।
ট্রাম্প বলেন, “কোনো দেশ বা ব্যক্তি ইরান থেকে যেকোনো পরিমাণ তেল বা পেট্রোকেমিক্যাল কিনলে, তাদের ওপর তাৎক্ষণিকভাবে সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর ব্যবসা করতে পারবে না।”
ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। মার্কিন অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১.০৩ ডলার বেড়ে দাঁড়ায় ৫৯.২৪ ডলারে, আর ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ১.০৭ ডলার বেড়ে হয় ৬২.১৩ ডলার।
উল্লেখ্য, ইরান ওপেকের অন্যতম বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ। ট্রাম্পের প্রশাসন চলতি বছরের শুরু থেকেই তেহরানের ওপর 'সর্বোচ্চ চাপ' নীতির আওতায় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। লক্ষ্য—ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনা এবং পারমাণবিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প আরও অভিযোগ করেন, “ইরান জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করে আসছে।” যদিও তেহরান বারবার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই ঘোষণার মূল লক্ষ্য চীন। র্যাপিডান এনার্জির সিইও ও সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা স্কট মডেল বলেন, “চীন প্রতিদিন ইরান থেকে ১০ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল আমদানি করছে। কিন্তু রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে টার্গেট না করলে এসব নিষেধাজ্ঞায় কার্যত কোনো প্রভাব পড়বে না।”
তিনি আরও বলেন, “ট্রাম্প কৌশলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন, তিনি বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দরকষাকষি করতে চান।”
এর আগে, এপ্রিলের শুরুতে ট্রাম্প একই ধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ভেনেজুয়েলা থেকে তেল আমদানিকারকদের উদ্দেশে। ওই দেশটিও ওপেকের সদস্য।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?