clock ,

আলোকে 'সুপারসলিড' বানিয়ে ইতিহাস—বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী সাফল্য

আলোকে 'সুপারসলিড' বানিয়ে ইতিহাস—বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী সাফল্য

এতদিন পর্যন্ত আলো ছিল ধরা-ছোঁয়ার বাইরেনা ধরা যায়, না আটকে রাখা যায়। কিন্তু সেই ধারণা এবার অতীত। বিজ্ঞানীরা এবারই প্রথম আলোকে শুধু বন্দি করেই ক্ষান্ত হননি, বরং সেটিকে রূপ দিয়েছেন একঅভেদ্যবস্তুতে। পদার্থবিদ্যার জগতে একে বলা হচ্ছে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার।

এর আগে পারমাণবিক কণাকে (অ্যাটম) অভেদ্য করা সম্ভব হয়েছিল। আলোও কি সেই একইভাবে ব্যবহৃত হতে পারে, তা নিয়ে নানা গবেষণা চলছিল। এবার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কোয়ান্টাম থিওরি ব্যবহার করে তাঁরা আলোকেসুপারসলিডরূপে পরিণত করতে পেরেছেন, যা ভাঙা বা ধ্বংস করা সম্ভব নয়।

এই গবেষণায় প্রথমে ফোটনকে (আলোর কণা) তরল রূপে আনা হয়। এরপর একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে, যেখানে অ্যাটমিক গ্যাস ছিল, সেখানে আলোক কণাগুলিকে বন্দি করা হয়। এই অবস্থায় তারা এক ধরনের কঠিন, অভেদ্য রূপ ধারণ করেএকটি সুপারসলিড আলো।

গবেষণাটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান পত্রিকা নেচার-এ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি এই আলোক কণার সঙ্গে পারমাণবিক কণার সফল সংযোগ ঘটানো যায়, তাহলে তৈরি হতে পারে এক নতুন শক্তির উৎস।

যদিও এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ের সাফল্য, কিন্তু বিজ্ঞানীদের আশা, এই আবিষ্কার ভবিষ্যতের শক্তি উৎপাদন, ডেটা স্টোরেজ, এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।

এখন অপেক্ষা, আলোকে বন্দি রাখার এই চমকপ্রদ কৌশল আগামী দিনে বিশ্বকে কোন পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য