clock ,

দুর্নীতি প্রমাণ হলেই জাবেদের পাচার অর্থ ফেরত সম্ভব: দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি প্রমাণ হলেই জাবেদের পাচার অর্থ ফেরত সম্ভব: দুদক চেয়ারম্যান

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ অন্যদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিদেশে জব্দ হওয়া সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় ফেরত আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান . মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

সোমবার যুক্তরাজ্য সফর শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “জাবেদের মতো ব্যক্তিরা কীভাবে অর্থ পাচার করে সম্পদ গড়েছেন, তা প্রমাণে আমরা আদালতসম্মত নথিপত্র প্রস্তুত করছি। বিদেশি আদালত সেসব যাচাই করে আদেশ দিলে অর্থ ফেরত আসবে।

তিনি জানান, যুক্তরাজ্যে জাবেদের ৩৪৩টি বাড়ি, যার মূল্য প্রায় হাজার ২৫ কোটি টাকা, এবং আরও ৩৫ কোটি টাকা সমপরিমাণ ডলার ইতিমধ্যে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) সহযোগিতায় জব্দ হয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যান জানান, যুক্তরাজ্যের এনসিএ এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি করাপশন কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (আইএসিসিসি) সঙ্গে তাদের আগেই সময় নির্ধারিত বৈঠক ছিল। এছাড়া জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদের আওতায় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকুয়েস্ট (MLAR) পাঠানো হয়েছে।

দুদক জানায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ভাই রনির পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান সানভীর সাফওয়ান সোবহানের বিদেশে থাকা সম্পদের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে এখনও সাফল্য খুব সীমিত। অনেক খরচ হলেও আইনি প্রক্রিয়ার জটিলতা এবং বিদেশি রাষ্ট্রের সদিচ্ছার অভাব এর প্রধান বাধা। তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

. মোমেন বলেন, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম এবং তার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম যৌথভাবে ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে প্রায় হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। তারা এখন বিদেশে থেকে দেশের সম্পদ বিক্রির চেষ্টা করছেন।

ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির তদন্ত চলছে বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান। তার নামে রাজউকের প্লট, গুলশানের ফ্ল্যাটসহ আরও সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, “যদি কেউ বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সুবিধা নেন, তবে তাকে সেই পরিচয়েই বিবেচনা করা হবে।

দুদক এখন আর কেবল পিএস বা এপিএসদের বিষয়ে কাজ করছে না, উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধেও নির্ভরযোগ্য অভিযোগ এলে তদন্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ অনেক সময় অর্থপাচারকে সহায়তা করে। এটি বন্ধ করা গেলে পাচার অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য