প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে দ্রুত সময়ের মধ্যেই উপযুক্ত ভোটিং পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট মতামত পাওয়া গেলে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় সিইসি এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অন্তত ৮০ জন বিশেষজ্ঞ।
সিইসি জানান, “আমরা বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আজকের কর্মশালায় প্রাপ্ত প্রস্তাবনার ভিত্তিতে একটি উপযোগী ভোটিং আর্কিটেকচার দাঁড় করানো হবে। এরপর তা একটি নির্দিষ্ট দেশে পরীক্ষামূলকভাবে (পাইলট) চালু করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভোটারদের শিক্ষা, সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং প্রবাসীদের অবস্থান বিবেচনায় রেখেই ধাপে ধাপে ভোট প্রক্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুরুতে পাইলটিং, পরে সীমিত পরিসরে এবং ধীরে ধীরে বৃহৎ পরিসরে সম্প্রসারণ করা হবে।”
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন তিনটি পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান সিইসি। এর মধ্যে রয়েছে পোস্টাল ভোটিং, অনলাইন ভোটিং এবং প্রক্সি ভোটিং। তিনি বলেন, “প্রবাসীরা অনেকেই দেখা করে ভোট দেওয়ার সুযোগ চেয়েছেন। তবে এটি বাস্তবায়নে কারিগরি ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।”
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, “পোস্টাল এবং অনলাইন ভোটিং পদ্ধতি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক দেশে বাস্তবায়নযোগ্য নয়। আমাদের মতে, প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতি অধিক কার্যকর হতে পারে।”
কর্মশালায় চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিবসহ উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?