হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে একহাত নিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শিক্ষার জন্য বিখ্যাত এই প্রতিষ্ঠানকে তিনি সরাসরি ‘তামাশার জায়গা’ বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি ফেডারেল তহবিল ও করমুক্ত সুবিধা বাতিলের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় বুধবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “হার্ভার্ড এখন আর শিক্ষার জন্য উপযুক্ত স্থান নয়। এটিকে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। হার্ভার্ড একটি তামাশা, যেখানে ঘৃণা ও বোকামি শেখানো হয়। তারা ফেডারেল তহবিল পাওয়ার যোগ্য নয়।”
ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডে শিক্ষক নিয়োগ, ভর্তি প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা চালায়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। ধারণা করা হচ্ছে, এরই প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাম্প এই কঠোর বক্তব্য দেন।
একই সঙ্গে ট্রাম্প আন্তর্জাতিক রাজস্ব পরিষেবা (IRS)-কে হার্ভার্ডের করমুক্ত মর্যাদা বাতিলের জন্য আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির
প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বাধীনতা বা
সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে কোনো দর-কষাকষিতে
যাবে না।”
তিনি আরও জানান, শিক্ষার
মান, একাডেমিক স্বাধীনতা এবং মূল্যবোধের সঙ্গে
আপস করবে না হার্ভার্ড।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিশ্বখ্যাত শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এর ইতিহাস, একাডেমিক কৃতিত্ব এবং প্রভাব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এ পর্যন্ত ১৬২ জন নোবেল বিজয়ী এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন।
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যকে অনেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও স্বাধীন শিক্ষাঙ্গনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তবে হার্ভার্ডের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট— রাজনীতি নয়, শিক্ষা ও গবেষণাই তাদের অগ্রাধিকার।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?