clock ,

মালয়েশিয়ায় বকেয়া আদায়ে কোম্পানির বিরুদ্ধে কর্মীদের অভিযোগ

মালয়েশিয়ায় বকেয়া আদায়ে কোম্পানির বিরুদ্ধে কর্মীদের অভিযোগ

মালয়েশিয়ার একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বকেয়া বেতন পরিশোধ না করার অভিযোগ এনেছেন সেখানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকরা। প্লাস্টিক উপাদান সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কাওয়াগুচি ম্যানুফ্যাকচারিংএর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন অন্তত ৪০ জনের বেশি বাংলাদেশি কর্মী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসী অধিকারকর্মী অ্যান্ডি হল।

অ্যান্ডি হল জানান, শ্রমিকদের অভিযোগ অনুযায়ী, তারা চলতি বছরের জানুয়ারিতে মাত্র হাজার রিঙ্গিত প্রথম কিস্তি হিসেবে পেয়েছেন। তবে এপ্রিলের দ্বিতীয় কিস্তির কোনো অর্থ এখনও তাদের পরিশোধ করা হয়নি।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত এক সমঝোতা অনুযায়ী, কাওয়াগুচির মোট ২৫১ জন শ্রমিক প্রায় ৩০ লাখ রিঙ্গিত অতিরিক্ত বেতন পাওয়ার কথা ছিল। অনেকেই টানা সাত মাস ধরে বেতন ছাড়াই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে ৩০ এপ্রিল পোর্ট ক্লাং-এর শ্রম বিভাগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ২২ জন শ্রমিক। তাদের একজন জানান, বর্তমানে তাদের মধ্যে ১২ জন বেকার অবস্থায় রয়েছেন এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় চাকরিও পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে অনেকেই বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে ধার করে জীবন চালাচ্ছেন।

পোর্ট ক্লাং শ্রম বিভাগ জানিয়েছে, তারা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখছে এবং অভিযোগকারীরা তাদের নিকটতম অফিসে গিয়ে আরও তথ্য জানতে পারেন। তবে কাওয়াগুচি ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানটি মূলত জাপানের শীর্ষস্থানীয় এয়ার কন্ডিশনিং ইলেকট্রনিক পণ্য কোম্পানিগুলোর জন্য যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে।

অ্যান্ডি হল আরও জানান, কাওয়াগুচির বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া ২২ জন প্রাক্তন শ্রমিক ঢাকায় প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে পৃথক অভিযোগ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, শনিবার ( মে) ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনে অভিযোগ জানাবেন। একই সময়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত শ্রমিকরাও বাংলাদেশ হাইকমিশনে সহায়তা চাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

কাওয়াগুচির বিরুদ্ধে এই মামলা মালয়েশিয়ায় আধুনিক দাসত্ব, জোরপূর্বক শ্রম, দায়মুক্তি, দুর্নীতি আইনের শাসনের দুর্বলতা প্রতিফলিত করে,” বলেন হল। তিনি আরও বলেন, “শ্রমিকরা তাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরেছেন। এখন বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার সরকারের দায়িত্ব তাদের ন্যায্য পাওনা আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

এদিকে মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগ কাওয়াগুচি তাদের আবাসন অংশীদারদের বিরুদ্ধে আটটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে অতিরিক্ত বেতন প্রদানে ব্যর্থতা এবং বাসস্থানের যথাযথ সার্টিফিকেশনের অভাবের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য