সরকার পতনের ঘটনাবহুল দিন গত ৫ আগস্ট জাতীয় সংসদ ভবনের একটি কক্ষে আশ্রয় নিয়েছিলেন সাবেক স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্তত ১২ জন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানিকালে এসব তথ্য প্রকাশ করেন পলক নিজেই। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আমি পালিয়ে ছিলাম না, নিরাপত্তার স্বার্থেই সংসদ ভবনে আশ্রয় নিয়েছিলাম। আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।”
আদালতে শুনানি শেষে বিচারক ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট পলককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরবর্তীতে তাঁকে একাধিক হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে সর্বশেষ মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আদালতে দেয়া বক্তব্যে পলক আরও বলেন, “সরকার পতনের দিন যারা সংসদ ভবনে অবস্থান করছিলেন, তাঁদের সবার নিরাপত্তা হুমকির মুখে ছিল। কিন্তু এখন আমার মতো একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার করা হচ্ছে।”
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে ৫ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে। নিরাপত্তাজনিত কারণে সংসদ ভবনে অবস্থান করা এই সাবেক নেতাদের নাম প্রকাশ না করলেও, আদালতে পলকের বক্তব্যে অন্তত ১২ জনের পালিয়ে থাকার তথ্য উঠে আসে।
এই বিষয়ে এখনো সরকার বা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?