clock ,

বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল, করহার বাড়লেও সমালোচনা তীব্র

বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল, করহার বাড়লেও সমালোচনা তীব্র

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আগের ধারাবাহিকতায় আবাসন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রেখেছে। তবে এবার শর্ত আরও কঠোর এবং করহার বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে।

নতুন বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী, অবৈধ বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে অর্জিত অর্থ এই সুযোগের আওতায় আসবে না। শুধু বৈধ উৎস থেকে আয় হলেও, পূর্বে কর না দেওয়ার কারণে যে অর্থ অপ্রদর্শিত ছিলতা নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে আবাসন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈধ করা যাবে।

এই সুযোগকে কেন্দ্র করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং অর্থনীতিবিদরা একে সরকারের নীতিগত দ্বিচারিতা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। টিআইবির ভাষ্য অনুযায়ী, এমন সিদ্ধান্ত সরকারের ঘোষিত দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান কাঠামোগত সংস্কারের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে স্পষ্টভাবে সাংঘর্ষিক।

প্রস্তাবিত বাজেটে ঢাকার গুলশান, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল দিলকুশা এলাকায় হাজার বর্গফুটের বেশি আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে হলে প্রতি বর্গফুটে হাজার টাকা হারে কর দিতে হবে। আগে যেখানে কর নির্ধারিত ছিল প্রতি বর্গমিটারে হাজার টাকা, এবার তা প্রায় গুণ বেড়েছে।

ধানমন্ডি, মহাখালী, লালমাটিয়া, উত্তরা, বসুন্ধরা, ক্যান্টনমেন্ট, নিকুঞ্জ, সিদ্ধেশ্বরী, কারওয়ান বাজারসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একই ধরনের সম্পত্তিতে প্রতি বর্গফুটে কর ধার্য হয়েছে হাজার ৮০০ টাকা। হাজার বর্গফুটের নিচের অ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে এই করহার কমে দাঁড়াবে যথাক্রমে হাজার ৫০০ ৬০০ টাকা।

বাজেট ঘোষণার পর টিআইবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দুর্নীতিকে প্রতিষ্ঠানগত স্বীকৃতি দেয়, যা সুশাসনের ধারণার পরিপন্থী।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং আস্থাহীনতার ইঙ্গিত হিসেবেও দেখছেন বিশ্লেষকরা।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য